Hesperian Health Guides

এন্টিবায়োটিক সংক্রামণের বিরুদ্ধে লড়াই করে

ভাল খাবার ভাল স্বাস্থ্য তৈরী করে: ঔষধ

কট্রিমক্সাজোল, ট্রিমেথোপ্রিম/সালফামেথোক্সাজোল, টিএমপি-এসএমএক্স


২ এন্টিবায়োটিকের একটি সংমিশ্রণ কট্রিমক্সাজোল দামে কম এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রামণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এইচআইভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি ‍একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ এবং এটি এইচআইভি’র সংক্রামণের কারণে দেখা দেয়া বিভিন্ন রকমের সংক্রামণ রোধ করতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণNBgrnimportant.png

৬সপ্তাহের কম বয়সের শিশু ও গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসের সময় কট্রিমক্সাজোল দেয়া এড়িয়ে চলুন। এই ঔষধে এ্যালার্জি সচরাচর দেখা যায়। এ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার চিহ্ন হিসেবে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। যদি ফুসকুড়ি দেখা যায় বা আপনার যদি মনে হয় যে এ্যালর্জি দেখা যেতে পারে তবে এটি ব্যবহার করা বন্ধ করুন।

কিভাবে ব্যবহার করতে হয়NBgrnpill.png
কট্রিমক্সাজোলে থাকা দু’টি ঔষধের প্রত্যেকটিই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতায় কিনতে পাওয়া যায়। সুতরাং এটায় হয়তো লেখা থাকতে পারে ২০০/৪০ (মানে ২০০ মিগ্রা সালফামেথোক্সাজোল এবং ৪০ মিগ্রা ট্রিমেথোপ্রিম) বা ৪০০/৮০ বা ৮০০/১৬০। কোন কোন সময় একটি মাত্রাকে হয়তো শুধুমাত্র ট্রিমেথোপ্রিমের পরিমাণ (দ্বিতীয় সংখ্যাটি) উল্লেখ করেই বর্ণিত হতে পারে।
৬ সপ্তাহ থেকে ৫ মাস: সালফামেথোক্সাজোল ১০০ মিগ্রা + ট্রিমেথোপ্রিম ২০ মিগ্রা দিনে ২ বার ৫দিনের জন্য দিন।
৬ মাস থেকে ৫ বছর: সালফামেথোক্সাজোল ২০০ মিগ্রা + ট্রিমেথোপ্রিম ৪০ মিগ্রা দিনে ২ বার ৫দিনের জন্য দিন।
৬ থেকে ১২ বছর: সালফামেথোক্সাজোল ৪০০ মিগ্রা + ট্রিমেথোপ্রিম ৮০ মিগ্রা দিনে ২ বার ৫দিনের জন্য দিন।
১২ বছরের উপরে: সালফামেথোক্সাজোল ৮০০ মিগ্রা + ট্রিমেথোপ্রিম ১৬০ মিগ্রা দিনে ২ বার ৫দিনের জন্য দিন।

এ্যামক্সিসিলিন


এ্যামক্সিসিলিন একটি বিস্তৃত-পরিসরের পেনিসিলিন, যার মানে হলো যে এটি অনেক ধরনের ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে। এটির পরিবর্তে সাধারণতঃ এম্পিসিলিন ব্যবহার করা যায়। আপনি যখন এই বইয়ে এ্যামক্সিসিলিনের সুপারিশ দেখবেন, তখন বুঝবেন যে আপনি এর বদলে এর সঠিক মাত্রায় প্রায় ক্ষেত্রেই এম্পিসিলিন ব্যবহার করতে পারবেন। উভয়ই খুবই নিরাপদ এবং বিশেষভাবে কোলের বাচ্চা ও ছোট শিশুদের জন্য খুবই কার্যকরী।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াGreen-effects-nwtnd.png

এ্যামক্সিসিলিন প্রায়শই বমি বমি ভাব এবং ডাইরিয়ার (কিন্তু এম্পিসিলিন যতটা করে ততটা নয়) কারণ ঘটায়। যাদের ইতোমধ্যেই ডাইরিয়া আছে তাদেরকে যদি এর পরিবর্তে অন্য আর একটি এন্টিবায়োটিক দিতে পারেন তবে এটি দেয়া এড়িয়ে চলুন।

অন্য আর একটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ফুসকুড়ি ওঠা। কিন্তু একটি উঁচু হওয়া, চুলকানো গোটা যেগুলো কয়েক ঘন্টার মধ্যে আসে আবার চলে যায় সেগুলো হয়তো পেনিসিলিন এ্যালার্জির চিহ্ন। ততক্ষণাৎ ব্যক্তিকে পেনিসিলিন দেয়া বন্ধ করুন, এবং ব্যক্তিটিকে আর কখনওই পেনিসিলিন ঔষধ দেবেন না। ভবিষ্যতে এ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হয়তো আরও মারাত্মক হতে পারে এবং এমনকি জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ হতে পারে। কোন কোন সমস্যার ক্ষেত্রে এর পরিবর্তে ইরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যেতে পারে। হামের মতো দেখতে, এবং ঔষধ শুরু করার সাধারণতঃ এক সপ্তাহ পর ওঠা এবং চলে যেতে কয়েক সপ্তাহ লাগে এমন সমতল ফুসকুড়িগুলো যে এ্যালার্জিরই প্রতিক্রিয়া তা নাও হতে পারে। কিন্তু এই ফুসকুড়িগুলো এ্যালার্জি থেকে হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা অসম্ভব, তাই সাধারণতঃ ঔষধ নেয়া বন্ধ করে দেয়াই সবথেকে ভাল।

গুরুত্বপূর্ণNBgrnimportant.png

এ্যামক্সিসিলিন প্রতিরোধক্ষমতা আরও বেশী করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি কোথায় বাস করেন তার উপর নির্ভর করে এটি হয়তো স্টাফিলোকক্কাস, গনোরিয়া, শিগেলা, বা অন্যান্য সংক্রামণের বিরুদ্ধে আর কখনওই কাজ করবে না।

কিভাবে ব্যবহার করতে হয়NBgrnpill.png

এ্যামক্সিসিলিন ভাল কাজ করে যদি মুখে খাওয়া হয়। একটি কোলের শিশুকে একটি বড়ি বা একটি ক্যাপসুল দিতে বড়িটি গুড়ো করুন বা ক্যাপসুলটি খালি করে ফেলুন এবং আপনি যে পরিমাণ চান তা পেতে সেগুলোকে ভাগ করুন। তারপর এটিকে অল্প একটি বুকের দুধের সাথে মিশ্রিত করুন। তারপর শিশুকে একটি কাপ বা চামচে করে দুধ এবং ঔষধ খাইয়ে দিন।

অন্য যে কোন এন্টিবায়োটিকের মতোই এই ঔষধগুলোকে এখানে দেখানো সবচেয়ে কম সংখ্যক দিনের জন্য খাওয়ান। তারপরও ব্যক্তিটির যদি সংক্রামণের চিহ্ন থাকে, তবে তাকে একই পরিমাণে ঔষধ সংক্রামণের সকল চিহ্ন চলে যাবার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা না পার হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যেতে দিন। ব্যক্তিটি যদি সর্বোচ্চ সংখ্যক দিনের জন্য ঔষধ খেয়ে থাকে কিন্তু তারপরও সে অসুস্থ্য থাকে তবে তাকে এন্টিবায়োটিক দেয়া বন্ধ করুন এবং চিকিৎসা সহায়তা গ্রহণ করুন। এইচআইভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য তালিকায় থাকা পূর্ণ সংখ্যার দিনগুলো পর্যন্ত ঔষধ খাওয়ান।

ঠিক তেমনিভাবে কতটুকু এন্টিবায়োটিক নিতে হবে তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স বা তার ওজনের উপর এবং সংক্রামণের তীব্রতার উপর। সাধারণভাবে, রোগা-পাতলা ব্যক্তির জন্য বা কম তীব্র সংক্রামণের জন্য কম পরিমাণটি ব্যবহার করুন, এবং ভারী ব্যক্তির জন্য বা আরও বেশী তীব্র সংক্রামণের জন্য বেশী পরিমাণটি ব্যবহার করুন।

দিন দু’টি মাত্রায় ভাগ করে প্রতি কেজিতে প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মিগ্রা করে দিন। আপনি যদি ব্যক্তিটির ওজন নিতে না পারেন তবে বয়স অনুসারে মাত্রা হবে:
৩ মাসের নীচে: ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য ১২৫ মিগ্রা করে দিনে ২বার করে দিন।
৩ মাস থেকে ৩ বছর: ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য ২৫০ মিগ্রা করে দিনে ২বার করে দিন।
৪ থেকে ৭ বছর: ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য ৩৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২বার করে দিন।
৮ থেকে ১২ বছর: ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য ৫০০ মিগ্রা করে দিনে ২বার করে দিন।
১২ বছরের উপরে: ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য ৫০০ থেকে ৮৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২বার করে দিন।



এই পাতাটি হালনাগাদ করা হয়েছে: ২৮ এপ্রিল ২০২৪