Hesperian Health Guides
প্রোথক এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইঞ্জেকশন
হেসপেরিয়ান স্বাস্থ্যউইকি > নতুন যেখানে ডাক্তার নেই > পরিবার পরিকল্পনা > প্রোথক এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইঞ্জেকশন
পরিচ্ছেদসমূহ
কিভাবে প্রোথন বা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করতে হয়
Iপ্রোথন হলো ছোট প্লাস্টিকের নল যা একজন স্বাস্থ্যকর্মী একজন নারীর বাহুর ভিতরের দিকের ত্বকের নীচে স্থাপন করে। প্রোথনের ধরনের উপর নির্ভর করে এগুলো ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য গর্ভধারণ রোধ করে।
ধরনের উপর নির্ভর করে স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতি ১, ২, বা ৩ মাসে একবার জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকে।
প্রোথন ও ইঞ্জেকশন সহজেই আড়ালে রাখা যায়, এবং নারীটিকে প্রতিদিন বড়ি সেবন করার কথা স্মরণে রাখতে হয় না। সকল প্রোথন এবং কোন কোন ইঞ্জেকশনে শুধুমাত্র প্রোজেস্টিন থাকে। এক ধরনের ইঞ্জেকশনে (মাসিক ইঞ্জেকশন) প্রোজেস্টিন ও ইস্ট্রোজেন উভয়ই থাকে তাই যে সমস্ত নারীরা সমন্বিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করতে পারে না তাদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। গর্ভবতী হতে চাইলে একজন নারী যে কোন সময়ে ইঞ্জেকশন নেয়া বন্ধ করে দিতে পারে বা যে কোন সময়ে প্রোথক তুলে ফেলতে পারে। প্রোথক বা ইঞ্জেকশন কোনটাই এইচআইভিসহ কোন যৌন বাহিত সংক্রামণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় না।
প্রোথক এবং ইঞ্জেকশনের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাসিক ইঞ্জেকশনগুলোতে হয়তো সমন্বিত বড়ির মতোই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। প্রোথন ও শুধুমাত্র-প্রোজেস্টিন ইঞ্জেকশনের শুধুমাত্র-প্রোজেস্টিন ছোটবড়ির শুধুমাত্র-প্রোজেস্টিন ছোটবড়ির মতোই একই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে ।
যে সমস্ত ঔষধ প্রোথক ও ইঞ্জেকশনের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করে
রিফামপিসিন (একটি টিউবারকুলোসিস ঔষধ), রিটোনাভির (একটি এইচআইভির ঔষধ) এবং কোন কোন মৃগিরোগের ঔষধ জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িগুলোকে কম কার্যক্ষম করে তোলে। আপনি যদি এই ওষধগুলো সেবন করে থাকেন, তবে ভিন্ন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ডায়াবেটিসের জন্য ইন্সুলিন নেয়া নারীদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন শুরু করার পর হয়তো ইন্সুলিন ব্যবহার করার পরিমাণ সমন্বয় করতে হতে পারে।
প্রোথক ও ইঞ্জেকশন গ্রহণ বন্ধ করা
প্রোথক ব্যবহার বন্ধ করতে সেগুলোকে একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা অপসরণ করান। প্রোথক অপসরণ করার সাথে সাথে একজন নারী গর্ভধারণ করতে পারে। ইঞ্জেকশন ব্যবহার বন্ধ করতে শুধু ইঞ্জেকশন না নিলেই চলবে। ইঞ্জেকশন বন্ধ করার পর একজন নারীর জন্য হয়তো গর্ভবতী হতে সময় লাগতে পারে, কিন্তু বেশীরভাগ নারীই ১ বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করতে পারবে।