Hesperian Health Guides
ডায়াবেটিস: ঔষধ
হেসপেরিয়ান স্বাস্থ্যউইকি > নতুন যেখানে ডাক্তার নেই > ডায়াবেটিস > ধরন ২ ডায়াবেটিসের জন্য খাবার ঔষধ
পরিচ্ছেদসমূহ
মেটফরমিন
মেটফরমিন ডায়াবেটিসের একটি ঔষধ যা দেহের ইন্সুলিনকে আরও ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং যকৃতে চিনির উৎপাদনের মাত্রা কমায়। যারা খাওয়া ও শারীরিক কসরতের মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এমন ধরন ২ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি ভাল কাজ করে কিন্তু এটি ধরন ১ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার করা যায়না। এটি অন্যান্য ডায়াবেটিসের ঔষধ থেকে কম দামী, এবং এটি রক্তে চিনির মাত্রা অনেক নীচে নামিয়ে দেয় না (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), এবং ওজন বৃদ্ধির কারণও হয়ে দাঁড়ায় না। মাঝে মাঝে অন্যান্য ডায়াবেটিসের ঔষধের (সালফনিলুরিয়া বা ইন্সুলিন) সাথে মেটফরমিন দেয়া হয়।
ডাইরিয়া, গা গুলানো, পেটে খিঁচুনি, গ্যাস, এবং মুখে ধাতব স্বাদের অনুভূতি। মেটফরমিন খাবারের সাথে গ্রহণ করলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো এড়াতে সাহায্য হবে। এগুলো সাধারণতঃ মৃদু হয় এবং ঔষধ ব্যবহার শুরু করার এক থেকে দুই সপ্তাহ বা মাত্রা বাড়ানোর পর চলে যায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো যদি থেকে যায় তবে ঔষধের মাত্রা কমিয়ে বা ঔষধ পরিবর্তন করে দেখুন।
কেউ যদি জলশূন্যতায় ভোগে বা কারো মারাত্মক সংক্রামণ থাকে তবে সে ভাল হয়ে ওঠার আগে পর্যন্ত তার মেটফরমিন নেয়া বন্ধ করা উচিত।
- মেটফরমিন শুরু করার আগে বৃক্কের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের বৃক্কের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করতে রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।
- বৃক্কের মৃদু রোগযুক্ত ব্যক্তিদের মেটফরমিনের স্বল্প মাত্রা (প্রতিদিন ১০০০ মিগ্রা-এর বেশী নয়) ব্যবহার করা উচিত।
- বৃক্কের তীব্র রোগযুক্ত ব্যক্তিদের মেটফরমিন নেয়া উচিত নয়।
তীব্র হৃদরোগ, যকৃতের রোগযুক্ত ব্যক্তিরা বা যারা প্রতিদিন একটির বেশী এ্যালকোহ্লযুক্ত পানীয় পান করে তাদের মেটফরমিন নেয়া উচিত নয়।
ধরন ২ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তি যার অস্ত্রপচার হবে বা রঞ্জক ব্যবহার করে এমন এক্স-রে হবে তাকে হয়তো এক দিনে আগে এবং ২ দিন পর পর্যন্ত মেটফরমিন নেয়া বন্ধ করতে বলা হতে পারে। ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস নামের একটি বিরল কিন্তু মারাত্মক অবস্থা রোধ করার জন্য এটি করা হয়।
ডায়াবেটিসের ঔষধ নিচ্ছে এমন যে কোন ব্যক্তির জন্যই, রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করতে এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষা করলে সহজেই দেখা যায় যে কতো ভালভাবে ঔষধটি বা ঔষধের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা কিরকম কাজ করছে। সাধারণতঃ একজন ব্যক্তি স্বল্প মাত্রা দিয়ে শুরু করে এবং তারপর মাত্রাটিকে অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়। তাই ডায়াবেটিসের একটি নতুন ঔষধ শুরু করার সময় কোন মাত্রাটি সবথেকে ভাল কাজ করবে তা জানার জন্য করতে সাধারণের থেকে বেশী পরীক্ষা করা হয়।
মেটফরমিন ৫০০, ৮৫০, বা ১০০০ মিগ্রা বড়ি আকারে আসে, এবং খাবার সময় খাওয়া উচিত।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণতঃ রাতের খাবারের সাথে দিনে একবার ৫০০ মিগ্রা দিয়ে শুরু করা উচিত।যদি রক্তে চিনির মাত্রা অনেক বেশী থাকে, তবে পরবর্তী সপ্তাহে অন্যান্য ঔষধের সাথে একটি বড়ি যোগ করে বা দিনে একবারের বেশী গ্রহণ করে এর মাত্রা বৃদ্ধি করা যায়।
উদাহরণস্বরুপ:
সপ্তাহ ১: ৫০০ মিগ্রা নিন বা
প্রতি রাতে ৮৫০ মিগ্রা এর ১/২ অংশ বড়ি প্রতি রাতে
সপ্তাহ ২: প্রতিদিন ৮৫০ মিগ্রা নিতে, ৮৫০ মিগ্রা এর ১/২ অংশ বড়ি সকালের খাবারের সাথে এবং ৮৫০ মিগ্রা এর ১/২ অংশ বড়ি রাতের খাবারের সাথে নিন বা
প্রতিদিন ১০০০ মিগ্রা নিতে, প্রতিদিন সকালের আহারের সাথে ৫০০ মিগ্রা এবং রাতের আহারের সাথে ৫০০ মিগ্রা করে ঔষধ সেবন করুন।
বেশীরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন ভাল কাজ করে যদি তারা প্রতিদিন ১০০০ থেকে ২০০০ মিগ্রা ঔষধ গ্রহণ করে, অর্ধেক সকালের খাবারের সময় এবং অর্ধেক রাতের খাবার সময়।
মেটফরমিন দিনে ৩ বারও গ্রহণ করা সম্ভব (সকালের, দুপুরের, এবং রাতের খাবারের সময়)।
উদাহরণস্বরূপ:
অন্যান্য ঔষধ যেগুলো কাজ করতে পারে
সালফনিলুরিয়া এবং ইন্সুলিন হলো এমনই ঔষধ যেগুলো কখনও কখনও মেটফরমিন এর পরিবর্তে বা এর সাথে ব্যবহার করা হয়।
সালফনিলুরিয়া
সালফনিলুরিয়া ধরন ২ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত বিভিধ শ্রেণীর ঔষধ। এগুলো অগ্ন্যাশয়কে আরও বেশী করে ইন্সুলিন তৈরী করতে সাহায্য করে ও দেহকে ইন্সুলিন ভালভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। দ্রুত-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া রক্তে চিনির পরিমাণ দ্রুত কমায় কিন্তু এগুলোকে দিনে দু’বার করে নেয়া প্রয়োজন। ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া অনেক ধীরে কাজ করে কিন্তু দেহের দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাই আপনার উচ্চ মাত্রা প্রয়োজন না হলে এটিকে সাধারণতঃ দিনে একবার নেয়া হয়।
সালফনিলুরিয়া রক্তে চিনির মাত্রা ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শুধু একাই ব্যবহার করা যায় বা অন্যান্য ডায়াবেটিসের ঔষধের সাথে (মেটফরমিন বা ইন্সুলিন) ব্যবহার করা যায়। এগুলো হয়তো কম কার্যক্ষম হয়ে যেতে পারে যদি কারো দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরন ২ ডায়াবেটিস থাকে।
সালফনিলুরিয়া রক্তে চিনির মাত্রা অনেক দ্রুত লো।হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখুন), অনেক নীচে নামিয়ে দিতে পারে, বিশেষকরে কেউ যদি এই ঔষধ নেয়ার পর খাবার না খায় বা স্বাভাবিকের থেকে বেশী সক্রিয় থাকে। এই বিপদ সাধারণতঃ গ্লীবেনক্ল্যামাইড (গ্লাইবুরাইড) এবং ক্লোরপ্রোপামাইড-এর মতো ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়ার ক্ষেত্রে হতে পারে কারণ এগুলো দেহে দীর্ঘ সময় ধরে দেহে থাকে।
- খিদে বেড়ে যাওয়া ও ওজন বেড়ে যাওয়া এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ভাল করে খাওয়া ও যথেষ্ট পরিমাণে সক্রিয় হওয়া এগুলো এড়াতে পারে।
- বিশেষ করে ক্লোরপ্রোপামাইড জাতীয় সালফনিলুরিয়া ব্যবহারের সময় এ্যালকোহ্ল পান করলে কখনও কখনও বমির কারণ ঘটায়।
- কোন কোন ব্যক্তিদের জন্য সালফনিলুরিয়া ত্বকে ফুসকুড়ি ঘটাতে পারে বা সূর্যের সংস্পর্শে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
বৃক্ক বা যকৃতের রোগযুক্ত ব্যক্তিদের বা বেশীরভাগ দিনেই একটির বেশী এ্যালকোহ্লযুক্ত পানীয় পান করে তাদের সাবধানতার সাথে সালফনিলুরিয়া ব্যবহার করা উচিত।
বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য (৬৫ বছরের বেশী বয়েসী) বা বৃক্কের রোগযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য গ্লিপিজাইড এর মতো দ্রুত-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া ব্যবহার করা নিরাপদ, এবং সবথেকে কম মাত্রায় ব্যবহার করুন যাতে রক্তে চিনির পরিমাণ খুব বেশী কমে না যায়।
সালফনিলুরিয়া ধরন ১ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বা সালফা জাতীয় ঔষধে এ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
গ্লীবেনক্ল্যামাইড (গ্লাইবুরাইড) ছাড়া গর্ভবতী নারীদের সালফনিলুরিয়া ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত যদি না ডায়াবেটিসের আর কোন ঔষধ না পাওয়া যায়।
ধরন ২ ডায়াবেটিসযুক্ত শিশুদেরকে সাধারণতঃ সালফনিলুরিয়া দেয়া হয় না।
অতিরিক্ত নেবার চিহ্ন
রক্তে চিনির মাত্রা অনেক নীচে চলে যাবার বিপদ চিহ্নগুলোর মধ্যে আছে হাঁটায় সমস্যা, দুর্বল অনুভব করা, দেখায় সমস্যা, বিভ্রান্ত, চেতনা হারানো, বা খিঁচুনি। ব্যক্তিটি যদি চেতন হয়ে থাকে তবে তাকে দ্রুত মিষ্টি জাতীয় কিছু দিন এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি পূর্ণ আহারের ব্যবস্থা করুন। যদি অচেচন হয়, তবে তার জিহ্বার নীচে এক চিমটি চিনি বা মধু রাখুন এবং তাকে অল্প অল্প পরিমাণে দেয়া অব্যহত রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত না সে সজাগ হয় এবং নিজে নিজে খেতে পারে।
অন্যান্য ঔষধের সাথে মিথষ্ক্রিয়া
একজন ব্যক্তি যদি সালফনিলুরিয়া নিতে থাকে তবে অন্যান্য ঔষধ ভাল কাজ নাও করতে পারে। এবং কেউ যদি ইন্সুলিন নিতে থাকে তবে কোন কোন সালফনিলুরিয়া হয়তো তার জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। আপনি যে সমস্ত ঔষধ নিচ্ছেন তার বিষয়ে একজন স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে কথা বলুন।
ডায়াবেটিসের ঔষধ গ্রহণ করা যে কোন ব্যক্তির জন্য রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করতে এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষা করা হলে ঔষধটি বা একটি ঔষধের নির্দিষ্ট মাত্রা কতো ভাল কাজ করছে তা দেখা যেতে পারে। সাধারণতঃ একজন ব্যক্তির অনেক নিম্ন মাত্রা দিয়ে শুরু করে তারপর মাত্রা একটু একটু করে বাড়াতে হয়। তাই ডায়াবেটিসের একটি নতুন ঔষধ শুরু করার সময় কোন মাত্রাটি সবথেকে ভাল কাজ করবে তা বের করায় সাহায্য করতে সাধারণের থেকে বেশী পরীক্ষা করা হয়।
সালফনিলুরিয়া ঔষধ ধরন ২ ডায়াবেটিসযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
- খবার ৩০ মিনিট আগে সালফনিলুরিয়া নিন। এই ঔষধ নেবার পর সবসময়ই খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যদি না খান তবে রক্তে আপনার চিনির মাত্রা বিপজ্জনকভাবে নীচে নেমে যেতে পারে।
- আপনি যদি ভালভাবে খান এবং স্বাভাবিকভাবেই ঔষধ নিতে থাকেন কিন্তু আপনার রক্তে চিনির মাত্রা অনেক বেশী থাকে তবে আপনার স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে কথা বলুন। মাত্রায় পরিবর্তন বা একটি ভিন্ন ঔষধ হয়তো প্রয়োজন হবে।
- আপনি যদি ভালভাবে খান এবং স্বাভাবিকভাবেই ঔষধ নিতে থাকেন কিন্তু আপনার রক্তে চিনির মাত্রা অনেক বেশী থাকে তবে আপনার স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে কথা বলুন। মাত্রায় পরিবর্তন বা একটি ভিন্ন ঔষধ হয়তো প্রয়োজন হবে।
- সালফনিলুরিয়া সাধারণতঃ সবথেকে স্বল্প মাত্রা শুরু করা হয় এবং প্রতিদিন ১বার সকালের নাস্তার আগে গ্রহণ করা হয়। রক্তে চিনির মাত্রা যদি তখনও বেশী থাকে তবে খুব ধীরে ধীরে কয়েক সপ্তাহ ধরে মাত্রাটি বাড়ানো হয়।
প্রতিটি সালফনিলুরিয়া ঔষধের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা আছে। একজন ব্যক্তি অনেক কম মাত্রায় শুরু করে এবং তার কয়েকদিন পর তাকে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে তার রক্তে চিনির মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে কমেছে কিনা। যদি তার আরও শক্তিশালী মাত্রার প্রয়োজন হয় তবে অল্প করে মাত্রা বাড়ানো হয়।
আর এক সপ্তাহ পরে তাকে আবার পরীক্ষা করা হয় এবং তার মাত্রা প্রয়োজনে আবারও বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত বেশী মাত্রায় সালফনিলুরিয়ার ব্যবহার করা বিপজ্জনক, তাই প্রতিবার স্বল্প পরিমাণেই শুধু এর মাত্রা পরিবর্তন করা হয়।
গ্লীবেনক্ল্যামাইড (গ্লাইবুরাইড)
গ্লীবেনক্ল্যামাইড একটি ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া এবং সাধারণতঃ ১.২৫ মিগ্রা, ২.৫ মিগ্রা, এবং ৫ মিগ্রা বড়ি আকারে পাওয়া যায়।
শুরুর মাত্রা সাধারণতঃ ১.২৫ মিগ্রা থেকে ৫ মিগ্রার মধ্যে হয়ে থাকে, প্রতিদিন একবার সকালে খাওয়ার আগে।যদি প্রয়োজন হয় তবে মাত্রা বাড়ানো যাতে পারে। বেশীরভাগ ব্যক্তি ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২.৫ মিগ্র থেকে ১০ মিগ্রার মাত্রায় ভাল কাজ করে। যদি প্রতিদিন ১০ মিগ্রা বা এর বেশী নিতে হয় তবে প্রতিদিনকার পরিমাণকে অর্ধেক করে দিনে দু’বার করে গ্রহণ করাই প্রচলিত, একবার সকালের আহারের আগে এবং একবার রাতের খাবারের আগে।
উদাহরণস্বরূপ:
১৫ মিগ্রা করে নিতে সকালে নাস্তার সাথে ২.৫ মিগ্রার ৩টি বড়ি নিন এবং ২.৫ মিগ্রার আর ৩টি বড়ি রাতের খাবারের সাথে নিন। দিনে ২০ মিগ্রার বেশী গ্রহণ করবেন না।
গ্লিমেপিরাইড
গ্লিমেপিরাইড একটি ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া এবং এটি সাধারণতঃ ১ মিগ্রা, ২ মিগ্রা, এবঙ ৪ মিগ্রা বড়ি আকারে আসে।
এর শুরুর মাত্রা সাধারণতঃ ১ মিগ্রা এবং ২ মিগ্রার হয়ে থাকে, সকালের নাস্তার আগে দিনে ১ বার।প্রয়োজনে মাত্রা বাড়ানো যায়। বেশীরভাগ লোকই দিনে ১ বার করে প্রতিদিন ১ মিগ্রা থেকে ৪ মিগ্রার মাত্রায় ভাল করবে। একদিনে ৮ মিগ্রার বেশী গ্রহণ করবেন না।
গ্লিপিজাইড
গ্লিপিজাইড একটি দ্রুত-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া এবং সাধারণতঃ ৫ মিগ্রা, এবং ১০ মিগ্রার বড়ি আকারে পাওয়া যায়।
শুরুর মাত্রা সাধারণতঃ ২.৫ মিগ্রা হয়ে থাকে, সকালের আহারের আগে প্রতিদিন ১ বার করে নিতে হয়। প্রতিদিন ২.৫ মিগ্রা করে শুরু করতে ৫ মিগ্রা বড়ির ১/২ ভাগ করে নিন।প্রয়োজনে মাত্রাটি বৃদ্ধি করা যাবে। বেশীরভাগ ব্যক্তিই দিনে ২.৫ থেকে ২০ মিগ্রার মাত্রায় ভাল থাকবে। যদি দিনে ১০ মিগ্রা বা এর বেশী নিতে হয় তবে প্রতিদিনের পরিমাণকে অর্ধেক করে দিনে ২ বার করে নেওয়াই প্রচলিত, একবার সকালের আহারের আগে এবং একবার রাতের খাবারের আগে।
উদাহরণস্বরূপ:
প্রতিদিন ১০ মিগ্রা করে নিতে: সকালের আহারের আগে ৫ মিগ্রা এবং বাকী ৫ মিগ্রা বড়ি রাতের আহারের আগে নিন।
প্রতিদিন ২০ মিগ্রার বেশী গ্রহণ করবেন না।
গ্লিক্লাজাইড এবং গ্লিক্লাজাইড এমএর
গ্লিক্লাজাইড ২ আকারে আসে।
নিয়মিত গ্লিক্লাজাইড সাধারণতঃ ৮০ মিগ্রা বড়ি আকারে পাওয়া যায়।
শুরুর মাত্রা সাধারণতঃ ৪০ মিগ্রা থেকে ৮০ মিগ্রার মধ্যে হয়ে থাকে, সকালের আহারের আগে দিনে একবার করে। প্রতিদিন ৪০ মিগ্রা করে নিতে ৮০ মিগ্রার বড়িকে ১/২ করে গ্রহণ করুন।প্রয়োজনে মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে। বেশীরভাগ ব্যক্তিরই প্রতিদিন ৪০ মিগ্রা থেকে ২৪০ মিগ্রার মাত্রায় ভাল কাজ করে। যদি দিনে ১৬০ মিগ্রা করে নিতে হয়, তবে প্রতিদিনের পরিমাণকে অর্ধেক করে দিনে দুই বার করে নেওয়াই প্রচলিত, একবার সকালের আহারের আগে এবং একবার রাতের খাবারের আগে।
উদাহরণস্বরূপ:
১৬০ মিগ্রা করে প্রতিদিন নিতে: সকালের আহারের আগে ৮০ মিগ্রা করে এবং রাতের আহারের আগে ৮০ মিগ্রা করে গ্রহণ করুন।
দিনে ৩২০ মিগ্রার বেশী গ্রহণ করবেন না।
গ্লিক্লাজাইড এমআর (সংশোধিত মুক্তি) ৩০ মিগ্রার বড়ি আকারে পাওয়া যায় এবং নিয়মিত গ্লিক্লাজাইড-এর থেকে ভিন্ন মাত্রায় ব্যবহার করতে হয়। সাধারণতঃ কোন ব্যক্তি গ্লিক্লাজাইড এমআর প্রতিদিন ৩০ মিগ্রা করে শুরু করে।
প্রয়োজনে মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে। বেশীরভাগ লোকের ক্ষেত্রেই দিনে ১ বার সকালের আহারের আগে প্রতিদিন ৩০ থেকে ১২০ মিগ্রার মাত্রা ভাল কাজ করে। গ্লিক্লাজাইড এমআর ব্যবহার করলে দিনে ১২০ মিগ্রায়ের বেশী নেবেন না।