Hesperian Health Guides

ডেঙ্গু জ্বর (হাড়-ভাঙ্গা জ্বর)

এই অধ্যায়ে

ডেঙ্গু সাধারণতঃ উত্তপ্ত বর্ষাকালে দেখা যায়। এগুলো শহর ও যে সমস্ত এলাকায় মানুষের ঘন বসতি থাকে সেখানে বেশী দেখা যায়। মানুষ যেখানে জল সংরক্ষণ করে এবং যে কোন জায়গা যেখানে জল জমা হয় যেমন বিভিন্ন পাত্র এবং জল নিষ্কাষণের ভাল ব্যবস্থা না থাকা ভূমিতে মশা বংশবৃদ্ধি করে।

প্রথমবার ব্যক্তির যখন ডেঙ্গু হয় তখন সে সহজেই বিশ্রাম নিয়ে ও প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ পান করে সাধারণতঃ ভাল হয়ে উঠতে পারে। যখন ব্যক্তিটি দ্বিতীয় বার বা তার পর যে কোন বার ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তা আরও বেশী বিপজ্জনক।

এই অসুস্থ্যতা সাধারণতঃ দেহে ব্যথাসহ হঠাৎ উচ্চমাত্রার জ্বর দিয়ে শুরু হয়। তিন চার দিন পর ব্যক্তিটি হয়তো ভাল অনুভব করতে পারে কিন্তু হাতে ও পায়ের পাতায় ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ফুসকুড়ি বাহু, পা, এবং দেহে ছড়িয়ে যায় (কিন্তু সাধারণতঃ মুখমণ্ডলে না)। ডেঙ্গুতে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে তবে বেশীরভাগ লোকেরই উচ্চ মাত্রায় জ্বর হয় এবং অন্যান্য লক্ষণগুলোর ২ বা তার বেশী দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গুর লক্ষণ
NWTND mosq Page 11-1.png
  • হঠাৎ উচ্চ মাত্রার জ্বর, ৩৯° (১০২°ফা) বা তারও বেশী মাত্রায়
  • পেশী ও অস্থি উভয় জায়গায় গুরুতর ব্যথা (সে কারণে ডেঙ্গুকে মাঝে মাঝে হাড়-ভাঙ্গা জ্বর বলা হয়)
  • মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা
  • ফুসকুড়ি
  • গলা ব্যথা
  • গা গুলায় বা বমি হয়
  • শরীরে কাঁপুনি ধরে
  • চরম ক্লান্তি


চিকিৎসা গ্রহণ আপনাকে ভাল অনুভব করায় সাহায্য করবে। কিন্তু গুরুতর ডেঙ্গুর বিপদচিহ্নগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন। এগুলোর যদি ততক্ষণাৎ চিকিৎসা করা না হয় তবে এর থেকে মৃত্যু হতে পারে।

গুরুতর ডেঙ্গুর বিপদ চিহ্ন
  • ত্বকের উপর রক্তের ছোট ছোট দাগ বা নাক, কান, বা মুখ থেকে রক্ত
  • পেট ফুলে যাওয়া বা বমি বা মলের সাথে রক্ত (পেটে রক্তক্ষরণের কারণে)
  • খেতে ও পান করতে অসমর্থ
  • বিভ্রান্তের মতো আচরণ করে, নাড়ী দ্রুত চলে, ত্বক ঠাণ্ডা হয়ে যায়, বা মর্মাহত হওয়ার অন্যান্য চিহ্ন দেখা যায়। যেখানে রক্ত পরীক্ষা করা যায় সেখানে হেমাটোক্রিট বেশী থাকা বা প্ল্যাটিলেট কম থাকা বলে দেয় যে এখানে কোন সমস্যা আছে।


গুরুতর ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুধুমাত্র শিরার মাধ্যমে তরল পদার্থ প্রবেশ করানো এবং রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করার মাধ্যমে করা যায়। বিপদ চিহ্ন দেখা দিলে ততক্ষণাৎ হাসপাতালে যান।

রোধ করা

মশার কামড় এড়িয়ে চলুন এবং মশার বংশবৃদ্ধি হওয়া রোধ করুন



এই পাতাটি হালনাগাদ করা হয়েছে: ২২ এপ্রিল ২০২৪