Hesperian Health Guides

জিকা ভাইরাস

এই অধ্যায়ে

NWTND mosq Page 13-1.png

জিকার কারণে মাত্র কয়েকদিনের জন্য মৃদু জ্বর, ফুসকুড়ি, চোখে জ্বালা, এবং দেহে ব্যথা হতে পারে। যদিও বেশীরভাগ লোকই যারা জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে তাদের কোন লক্ষণ দেখা যায় না।

জিকার লক্ষণ
  • ১ বা ২ দিনের জন্য নীচু মাত্রায় জ্বর, সাধারণতঃ ৩৮° (১০১°ফা)-এর বেশী নয়
  • ফুসকুড়ি
  • চোখে জ্বালা বা চোখ লাল
  • অস্থির ব্যথা
  • ত্বকে চুলকানি
  • পেশীতে ব্যথা ও মাথা ব্যথা


জিকা সাধারণতঃ মৃদু হয় এবং মাত্র কয়েক দিন বা ১ সপ্তাহ পর্যন্ত এটি থাকে। সাধারণতঃ জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা হওয়ার মতো এতোটা অসুস্থ্য হয় না।

চিকিৎসা আপনাকে ভাল অনুভব করতে সাহায্য করবে।

প্রতিরোধ

জিকা রোধ করতে মশার কামড় এড়িয়ে চলুনএবং এলাকাভিত্তিক মশা নিয়ন্ত্রণ চর্চা চালু করুন। বেশীরভাগ জিকাই মশার কামড় থেকে আসে তবে জিকায় আক্রান্ত হয়েছে এমন পুরুষ যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে একজন নারীর মধ্যে জিকা ছড়াতে পারে। তাই যে সমস্ত অঞ্চলে জিকা দেখা যায় সেখানে যৌনক্রিয়ার সময় কনডম ব্যবহার করলে এই রোগ ছড়ানো রোধ করা যায়।

জিকা ও গর্ভধারণ

NWTND mosq Page 13-2.png

জিকা গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুর জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। জিকার কারণে শিশু মাইক্রোসেফালি বা ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক নামের একটি গুরুতর অবস্থা নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে, যার ফলে শিশুর মাথা অতিরিক্ত ছোট হয়। জিকা আক্রান্ত নারীদের গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুরা জন্মের সময়ে মারা যেতে পারে বা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠায় সমস্যা থাকতে পারে। সৌভাগ্যজনক যে এই শিশুদের বেশীরভাগেরই কোন সমস্যা থাকবে না। কিন্তু সকল নারী বিশেষ করে যারা গর্ভধারণ করবে তাদের সকলের কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে, মশাতাড়ুয়া ব্যবহার করে, এবং ঘরের মধ্যে পর্দা এবং মশারী টানিয়ে মশা দুরে রাখার মাধ্যমে মশার কামড় এড়িয়ে যেতে হবে।

আপনি যেখানে বাস করেন সেখানে যদি জিকার প্রাদুর্ভাব হয় এবং আপনি গর্ভবতী হতে চান তবে প্রদুর্ভাব চলে যাবার পর আপনি গর্ভবতী হবার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। জিকা ভাইরাস থেকে সকল নারীর ক্ষতি সীমিত করতে তাদের কাছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহজলভ্য করার বিষয়টি এলাকার জনগোষ্ঠী নিশ্চিত করতে পারে (পরিবার পরিকল্পনার উপর অধ্যায়টি এবং নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হোক] পুস্তকটি দেখুন)।

একটি লোক কথা বলছে
আমরা যখন বাচ্চা নিতে চেয়েছি তখন কনডম ব্যবহার করা বাদ দিয়েছি। এখন আমার স্ত্রী গর্ভবতী এবং যেহেতু এখানে জিকা আছে তাই আমরা এখন মশার কামড় না খাওয়ার ব্যবস্থা করি আর শিশুটিকে রক্ষার জন্য আবারও কনডম ব্যবহার করি!

যেহেতু যৌনকর্মের সময় জিকা ভাইরাস একজন পুরুষ থেকে একজন নারীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই যেখানে জিকা আছে সেখানে কনডম ব্যবহার করে জিকা ভাইরাস ছড়ানো রোধ করুন। একজন নারী যদি ইতোমধ্যেই গর্ভবতী হয়ে যায় তবে যৌনক্রিয়া এড়িয়ে চলা বা গর্ভবতী অবস্থায় জিকায় আক্রান্ত হওয়া রোধ করতে সে এবং তার সহধর্মীর কনডম ব্যবহার করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জিকা মশা না থাকা কোন এলাকাতেও একজন নারী যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে জিকা আক্রান্ত হতে পারে যদি তার সঙ্গী জিকা বিদ্যমান এমন কোন জায়গায় ভ্রমণ করে থাকে। যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে জিকা ছড়ানো রোধ করতে তার ফিরে আসার কমপক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করা উচিত।

কোন শিশুই বুকের দুধ পান করার মাধ্যমে জিকা আক্রান্ত হয়নি। আপনার যদি জিকা থেকেও থাকে বুকের দুধ পান করানো আপনার বাচ্চার পুষ্টিসাধন করা ও তার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার সবথেকে ভাল উপায়।


এই পাতাটি হালনাগাদ করা হয়েছে: ২৩ এপ্রিল ২০২৪